May 17, 2024, 8:50 am

হেঁটেই ওজন ঝরাবেন বলে স্থির করেছেন? এক ভুলে সব চেষ্টাই হবে মাটি

অনলাইন ডেস্ক।

একটানা হাঁটাতেই ঝরবে ওজন? অনেক সময়ে নিয়মিত হাঁটাহাটি করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। হাঁটার সময়ে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন, রইল হদিস।

সুস্থ থাকতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ— সব সমস্যার সমাধান একটাই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার সময় না পেলে কেবল মাত্র নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলেই ওজন কমানো সম্ভব। অনেকে বলেন, দিনে দশ হাজার পা হাঁটাই আদতে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।

কিন্তু কী ভাবে হাঁটলে, দিনে কতটা হাঁটলে তা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে, এটা না জানলে পণ্ডশ্রম! বাজার-দোকান, অফিস, কেনাকাটা ইত্যাদিতে হেঁটে গেলেই উপকার পাবেন, না কি ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট গতিতে হাঁটলে তবেই মিলবে সুফল?

একটানা হাঁটাতেই লুকিয়ে সুফল। টুকটাক খুচরো হাঁটায় শরীরের কলকব্জা ভাল থাকে ঠিকই, কিন্তু তাতে ওজনের হেরফের হয় না। ফিটনেসবিদদের মতে, লক্ষ্য রাখতে হবে সেকেন্ডে দু’পা হাঁটা। অত হিসাব কষতে না পারলে অন্তত ১৫-২০ মিনিটে দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারলে ভাল। অনেক সময়ে নিয়মিত হাঁটাহাটি করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। হাঁটার সময়ে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন, রইল হদিস।

অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল না। সময় ধরে হাঁটার চেষ্টা করুন। খুব বেশি ক্ষণ হাঁটলে পেশিতে চোট, পেশিতে টান এমনকি হাড়ের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

পোষ্যকে সঙ্গে করে বা দলবেঁধে গল্প করতে করতে না হাঁটাই ভাল। এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। মোবাইল কানে নিয়ে হাঁটলে হাঁটার উপকারিতা আসে না, কথা বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি হাঁটা যায় না।

মাথায় একগাদা চিন্তা নিয়ে হাঁটবেন না। হাঁটা একটা নেশা। অভ্যাসের মতো রুটিনে ঢুকিয়ে নিয়ে দেখুন, মন্দ লাগবে না। কিন্তু প্রথম প্রথম একঘেয়ে লাগলে মোবাইলের হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হাঁটুন। এতে এমন কিছু হরমোন ক্ষরিত হবে, যা দুশ্চিন্তা কমায়। তবে বড় রাস্তায় গেলে কানে হেডফোন গুঁজে হাঁটার সময়ে সচেতন থাকুন।

হাঁটার সময়ে পরার জন্য জুতো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পায়ে আরাম দেয়, এমন জুতো পরে হাঁটুন। হাত বা পিঠে খুব বেশি ভার বইবেন না তখন। এতে ক্লান্ত হবেন তাড়াতাড়ি।

হাঁটাহাঁটি করার সময়ে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলেই বিপদ। ডিহাইড্রেশনের সময়ে হাঁটলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। পেশিতে টান ধরবে। ফলে হাঁটার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :